বাগেরহাটে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অপরাধে নারী ইউপি সদস্যের স্বামীসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার শুকদারা এলাকা থেকে পুলিশ এদের আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টবালিয়াঘাটা এলাকার মোঃ আমজাদ হোসেনের ছেলে (৪৪) এবং খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার সাহেব আলীর ছেলে আরাফাত শেখ (৩০)। এদের মধ্যে আরাফাত কোস্টগার্ডের কটি পড়া ছিলেন। আজমল হোসেন সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্যের স্বামী। স্ত্রী ইউপি সদস্য এলাকায় অন্যায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন আজমল হোসেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে সিয়াম ও সালমান নামের দুই ভ্যান চালক গ্রাম থেকে ভাঙ্গারী ক্রয় করে শুকদারা যাচ্ছিলেন। ভট্টবালিয়াঘাটা ব্রিজের কাছে পৌছালে আজমল হোসেন ও আরাফাত গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ভ্যানের গতিরোধ করে এবং বলে তোদের কাছে চোরাই মাল রয়েছে। পরে ভ্যান চালকদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করেন। এক পর্যায়ে ভ্যানচালকদের আটকে রেখে, ভ্যানের মালামাল নিয়ে শুকদারা বাজারে বিক্রি করতে যায়। সন্দেহ হলে শুকদারা বাজারের ব্যবসায়ীরা আজমল ও আরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আরাফত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় ভ্যান চালক সালমানের ভাই রুপসা উপজেলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা মোঃ হেলাল বাদী থানায় মামলা করেছেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি তদন্ত নিশি কান্ত সরকার বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ভ্যান চালকদের আটকে মালামাল নিয়ে বিক্রির সময় দুই জনকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে আমরা তাদেরকে আটক করি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতরা আগেও বিভিন্ন অপরাধ করেছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ টিএ