গোপালগঞ্জে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় মা ও ছেলে নিহত হয়েছে। এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছে। শনিবার(১৫ মে) বিকেল ৩টায় সদর উপজেলার পাথালিয়া নামক স্থানে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের মৃত তারা আলী মোল্লার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৬০) ও তাঁদের ছেলে মহিদুল মোল্লা (৩৫)।
নিহত মহিদুলের খালা আহত ফিরোজা বেগম (৪৫) ও আয়শা বেগমকে (৪০) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া মহিদুলের স্ত্রী সুমি বেগম (৩০), মেয়ে মীম (১১), ছেলে মোমিন (৭) ও তাদের খালাত বোন বৈশাখীকে (১০) প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল বারেক জানান, মরিয়ম বেগম টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ দেখতে যেতে চান। ছেলে মহিদুল সকালে দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের বাড়ি থেকে প্রাইভেটকার চালিয়ে মা মরিয়ম, স্ত্রী সুমি, ছেলে মোমিন, মেয়ে মীম, দুই খালা আয়শা ও ফিরোজা এবং খালাতো বোনের মেয়ে বৈশাখীকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে যান।
সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে তারা ওই প্রাইভেটকারে করে ফুকরার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে পাথালিয়া নামকস্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে তাদের প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পরে সামনের ডানপাশের চাকা ফেটে প্রাইভেটকারটি উল্টে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক মহিদুল নিহত হন। আহত হন মহিদুলের মা সহ সাতজন। গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়ম বেগম মারা যান। মরিয়মের বোন ফিরোজা বেগম ও আয়শা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মা-ছেলের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই আবদুল বারেক।
খুলনা গেজেট/ এস আই