খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজশাহীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর নিহত
  ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে পানির জন্য হাহাকার, দ্রুত সমাধানের দাবি পৌরবাসির

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় পানির জন্য চলছে হাহাকার। বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ লাইনে মোটেও পানি পাওয়া যাচ্ছ না। ফলে রিজার্ভ ট্যাংকি গুলো রয়েছে পানি শূন্য। ফলে শত শত গ্রাহক পানির কষ্টে দূর্বিসহ দিন কাটাচ্ছেন। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল রোজার আগেই সমস্যার সমাধান হবে।

চৈত্রের গরমে জনজীবন অনেকটা অতিষ্ঠ। সেই সংগে যোগ হয়েছে পানির সংকট। গত এক মাস ধরে পৌর এলাকার নিচুপাড়া, শংকরের মোড়, জনতারোড বাইলেন, পূর্ব মিয়াপাড়ায় পানি সরবরাহ একেবারেই নেই বল্লেই চলে। পানি না থাকায় গোসল, রান্না ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য পানি সংগ্রহে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পানির অভাবে নারীদেরকে দূরের টিউবওয়েলে লাইনে দাঁড়িয়ে পানি এনে পরিবারের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে।

শহর এলাকার কিছু গ্রাহক সামান্য সময়ের জন্য পানি পেলেও বাকিরা পানি পান না এক মাস ধরে। অন্য এলাকা থেকে ভ্যানে করে কলসি-বালতি ভরে টিউবওয়েলের পানি আনতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। গ্রাহকদের অভিযোগ তারা বিল পরিশোধ করছেন ঠিকই। অথচ পানি পাচ্ছেন না।

নিচুপড়া এলাকার বাসিন্দা নাসরিন নাজনিন বলেন, এক মাস ধরে আমরা পানি পাচ্ছি না। এর মধ্যে আবার রোজা শুরু হয়েছে। নামাজ পড়ার জন্য অজু করবো তেমন পানিও থাকে না। রান্না-খাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। বাথরুম টয়লেটগুলোতে পানি না থাকায় উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে।

পৌর এলাকার শংকরের মোড়ের বাসিন্দা নিপুন সরকার বলেন, পৌর সরবরাহ লাইনে প্রায় এক মাস যাবত আমরা পানি পাচ্ছি না। প্রায় আধা কিলো মিটার দূরের টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সেখানে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।

পানি বঞ্চিত পৌরবাসী কাজী এজাজ বলেন, প্রতি মাসে বিল পাওয়ার সাথে সাথে আমরা বিল পরিশোধ করি। এখন রোজা চলছে কিন্তু পানি পাচ্ছি না।গোসল, রান্না ও দৈনন্দিন কোন কাজই করতে পারছি না। কর্তৃপক্ষের কাছে পানি সরবরাহের জন্য গেলে শুধু আশ্বাসই মেলে, পানি মেলে না।

গোপালগঞ্জ পৌর পানি সরবরাহের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাকারিয়া আলম বলেন, গোপালগঞ্জ পৌরসভায় পুরাতন ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি দিয়ে ৬০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব। অথচ চাহিদা রয়েছে ২ কোটি লিটার। তবে নতুন প্লান্টটি চালু হলে দ্রুতই পৌরবাসীর চাহিদা পূরণ করা যাবে।

গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী বলেন, পৌর এলাকার কিছু কিছু এলাকায় পানি সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। তবে রমজানের আগে আমরা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!