গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ১০শয্যা বিশিস্ট পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ শেখ সাজ্জাদ হোসেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এর পরিপেক্ষিতে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্হিঃবিভাগের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছে চিকিৎসকেরা। এ সময় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মচারী ওবায়দুর রহমানও আহত হয়েছেন। আহত চিকিৎসক ও কর্মচারীকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত চিকিৎসক ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। এসময় গোপীনাথপুর গ্রামের ফটিক খন্দকারের ছেলে নাজিম খন্দকার রোগীদের ঠেলে ভিতরে এসে তাকে আগে দেখে দেয়ার কথা বলেন। আমি হাতের রোগী দেখে তাকে দেখে দেয়ার কথা বললে তিনি আমার উপর ক্ষেপে গিয়ে লোকজনের সামনে গালমন্দ করেন। কিছু সময় পরে হঠাৎ আমাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকে। এসময় হাসপাতালের অফিস সহকারী ওবায়দুর রহমান বাধা দিতে গেলে তাকেও মারপিট করে পালিয়ে যায়। এতে আমার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং অফিস সহকারীর বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। এই অপরাধের জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির বিধান করেন এটা আমার দাবী।
এ ব্যপারে বিএমএ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, সদর উপজেলার গোপাপীনাথপুর পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার ও অফিস সহকারীর উপর যে হামলা চালানো হয়েছে সেটা জঘন্য কাজ। এই অপরাধের জন্য আমরা আইনের আশ্রয় নিব। জরুরী ভিত্তিতে কমিটির সভা আহব্বান করা হবে। আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাজিম খন্দকারের বড় ভাই মোঃ ইমরুল হাসান খন্দকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত নাজিমসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আহত ডাক্তারকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ করলে সেটি নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম