বিগত পাঁচ অর্থবছর পর গেল অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে। গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ টন পণ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার টন পণ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ টন পণ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মহসিন মিলন জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের বিনিময় হারে ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণ দেখিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছে। এতে আমদানি কমায় বছরের শুরুতে রাজস্ব ঘাটতি ছিল। তবে বছরের শেষ দিকে এসে উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি বেশি হয়েছে। সে কারণে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি কারক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, বৈশ্বিক মন্দায় ডলার সংকট দেখিয়ে দেশের ব্যাংকগুলো বিনিময় হার বাড়ানোয় এলসি খুলতে পারেননি অনেক ব্যবসায়ী। এতে করে বেনাপোল দিয়ে আমদানি কমেছে ব্যাপক হারে। তবে সরকার হঠাৎ বিভিন্ন পণ্য আমদানি উপর শুল্ক বাড়ানোয় কাস্টমসের রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, গেল অর্থবছরে সরকারের মেগা প্রকল্পের পণ্য বেনাপোল দিয়ে আমদানি হয়েছে। এতে করে কাস্টমসের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, অর্থবছরের শেষ দিকে উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য বেশি আমদানি এবং সরকার শুল্ক হার বাড়ানোয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অনিয়ম ধরা পড়লে রাজস্ব পরিশোধ পূর্বক ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে বলে কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম