সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে সোনিয়া খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর পিতা জামাত আলীবাদি হয়ে বুহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে এই মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গৃহবধূর শশরি ও শাশুড়িকে গেপ্তার করেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
সোনিয়া খাতুন (২২) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার গণেশপুর গ্রামের জামাত আলী মেয়ে ও পাশ্ববর্তী শেরকাটি গ্রামের আনারুল মোল্লার (২৬) স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর পিতা জামাত আলী জানান, প্রায় ৫ বছর আগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার শেরকাটি গ্রামের আশারাফ মোল্লার ছেলে রাজমিস্ত্রী আনারুল মোল্লার সাথে তার মেয়ে সোনিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আড়াই বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই জামাই আনারুলসহ শ্বশুর ও শাশুড়ি যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই তার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। শশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে এক পর্যায় সোনিয়া শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাড়িতে চলে আসে। কিছুদিন পর জামাতা আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে মেয়েকে আবারও নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকালে মেয়ে সোনিয়াকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক সিয়াবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যেয়ে মরদেহে উদ্ধার করে শুক্রবার (২৩ জুলাই) ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে জানান তিনি।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহত গৃহবধূর শ্বশুর আশারাফ মোল্লা ও শাশুড়ি মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।