নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলায় মাঈন উদ্দিন শাহেদ নামে আরও একজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১০ অভিযুক্তই গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে, বুধবার (৭ অক্টোবর) এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আরও তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার এস আই মোস্তাক আহমেদ জানান, বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেফতারকৃত তিন আসামি সাজু, সোহাগ ও নূর হোসেন রাসেলকে হাজির করা হয়।
৩নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক শুনানি শেষে দুটি পৃথক মামলায় সাজুর তিন দিন করে ছয়দিন এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় রাসেল ও সোহাগের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সাত আসামিকে রিমান্ডে আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দেলোয়ার হোসেন দেলু ও আবুল কালামের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিকেলে নির্যাতিতাকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম নবনীতা গুহর আদালতে হাজির করা হয়। জ্যেষ্ঠ হাকিম ২২ ধারায় ওই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর তার সাবেক স্বামী গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় অপরিচিত লোক দাবি করে তাকে বেঁধে ফেলে স্থানীয় ওই বখাটেরা। পরে ঘরের ভেতর ঢুকে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে চালায় অমানুষিক নির্যাতন। সেই ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে।
খুলনা গেজেট/এআইএন