সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব-অপপ্রচারের জবাব দিতে এক লাখ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের সমন্বয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ করছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি। এই লক্ষ্যে সারা দেশে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করছে তারা।
এরই অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত থানার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) কাউন্সিল হলে ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় সার্বিক সহযোগিতা করে আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে এবং উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. নজমুল আলম ভূঁইয়া জুয়েল এবং দক্ষিণের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফএম শরিফুল ইসলাম। প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন সিআরআইয়ের কো-অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় আহমেদ।
এ সময় আবদুস সবুর বলেন, দেশ যত উন্নত হতে থাকবে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, তত বেশি গুজব-অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করবে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব-অপপ্রচার ছড়িয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্তের চেষ্টা করবে। যেহেতু তারা রাজপথে পেরে উঠতে পারবে না, তাই তাদের একমাত্র হাতিয়ার গুজব-অপপ্রচার। আমাদেরকে আগামী দিনে এই গুজব-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি জানান, আমরা সারা দেশে ইতোমধ্যে ৬৯ টি কর্মশালা সম্পন্ন করেছি। আজ ৭০তম কর্মশালা চলছে। আমাদের লক্ষ্য হলো- জেলা পর্যায়ে ১০ হাজার মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা। আর এই মাস্টার ট্রেইনারদের দ্বারা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এক লাখ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট তৈরি করা। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী যেন আগামী দিনে কোনো প্রকার গুজব-অপপ্রচারের মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে এই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা।