খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুপির মোড়ে সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী। তিনি জানান, মামলার পরপরই আসামি আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এরআগে ঘটনার ৪ দিন পরে ভিকটিমের পিতা আব্দুল গফফার গাজী বাদী হয়ে শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে কয়রা থানা পুলিশ অভিযানে নেমে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, ঈদের পরের দিন সোমবার ( ১১ জুলাই) সকালে প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক আব্দুল গফফার গাজীর জমিতে ঘর নির্মাণ করতে চায়। এসময় তার মেয়ে শামিমা নাসরিন ও তার ভাবী সালমা খাতুন ঘর নির্মাণে বাধা দেন। তখন প্রতিপক্ষ শামীমাকে বাড়ির ভেতর থেকে বের করে দাড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহত শামিমা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল জোর চেষ্টা চালায়। শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে জানতে পেরে খুলনা গেজেট বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করলে পাল্টে যায় পরিস্থিতি।
খুলনা গেজেট/ টি আই