গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার দারগারচালা গ্রামের একটি বাগানের ঝোপ থেকে সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আটক কিশোর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, খেলার জন্য মোবাইল ফোন না দেওয়ায় ওই শিশুটিকে হত্যা করেছে সে।
নিহত শিশুর নাম সিফাত আহমেদ। সে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝানুগাছ চাপানি গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। অন্যদিকে, আটক কিশোর পাবনার সুজানগর উপজেলার বাসিন্দা।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান জানান, শ্রীপুর থানাধীন কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকায় পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকে শিশু সিফাত ও আটক কিশোরের পরিবার। ওই কিশোর স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার দুপুরে সিফাত তার বাবার মোবাইল নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় কিশোর খেলার কথা বলে সিফাতকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সিফাত বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে রাতে পাশের দারগারচালা গ্রামের (ডলফিন বেকারির সামনে) সীমানা প্রাচীর ঘেরা একটি বাগানের ঝোপের ভেতরে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তার মাথা ইট দিয়ে থেঁতলানো ও পেটে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মনিরুজ্জামান আরো জানান, এ ঘটনায় ওই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ইট ও কাঁচের টুকরো উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত কিশোর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, বাগানের পাশে গিয়ে খেলার জন্য সিফাতের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিফাতের মাথায় ঘুষি দেয় ওই কিশোর। এ ঘটনায় সিফাত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর তার লাশ প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায় ওই কিশোর। সেখানে ওই কিশোর ইট দিয়ে শিশুটির মাথা থেতলে দেয় এবং ভাঙা বোতলের কাঁচ দিয়ে পেটে একাধিক আঘাত করে। পরে মোবাইল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম