খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২ জুন, ২০২৪

Breaking News

  সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
  কারও সাথে বৈরিতা নয় দেশের উন্নয়নই গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী
  লুটেরা সরকারকে না ঠেকাতে পারলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না : ফখরুল

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় নিহত ৭ জিম্মি : হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় ‍অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এই নিহতদের মধ্যে ৪ জন ইসরায়েলি এবং ৩ জন বিদেশি নাগরিক।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা উবাইদা। কিন্তু উপত্যকার কোন এলাকায় এই ৭ জিম্মি নিহত হয়েছেন, তা বলেননি তিনি।

তবে টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি বলেছেন, গাজায় গত প্রায় ৫ মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বেশ কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার নিহতের মধ্যে দিয়ে সেই সংখ্যা ৭০ জন ছাড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে যায়। অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এই যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। এই তিন দেশের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর প্রথম যুদ্ধবিরতি হয়েছিল গাজায়। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দেড়শ জনকে ছেড়ে দিয়েছিল সেখানকার সরকার।

বর্তমানে গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আসন্ন রমজানের আগেই গাজায় দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে। সেই বরতির মেয়াদ হবে ৪০ দিন।

সূত্র : রয়টার্স, আল আরাবিয়া।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!