খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

গভীর রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, মৃত ১৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের হিমাচল প্রদেশ। বুধবার (৭ আগস্ট) রাতের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে সেখানকার সামেজ গ্রাম। এতে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গত ৩১ জুলাই থেকেই মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের শিমলা, মান্ডি এবং কুলু জেলা। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, হিমাচল প্রদেশের শ্রীখণ্ডের কাছে সামেজ এবং বাগী সেতুর মাঝামাঝি এলাকায় বুধবার গভীর রাতে ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক ব্যক্তি।

হিমাচল প্রদেশের শিমলা জেলার গ্রাম সামেজ। গত ৩১ জুলাইয়ের মেঘভাঙা বৃষ্টির পর আবার একই বিপর্যয় নেমে এলো গ্রামটিতে। আগেই সেখানে অন্তত ৩৩ জন নিখোঁজ ছিলেন। পানির তোড়ে ভেসে গিয়েছিল বহু বাড়ি-ঘর। এবার বুধবার রাতের দুর্যোগে মারা গেলেন ১৩ জন। দুর্যোগকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ।

এনডিআরএফের কম্যান্ড্যান্ট বলজিন্দর সিং সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘হিমাচলের বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় উদ্ধার অভিযানের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সামেজে বার বার মেঘভাঙা বৃষ্টি সে রকমই একটি বিপর্যয়। জোর তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। আজ সকাল পর্যন্ত ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ৭ আগস্ট ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছে হিমাচল। মান্ডি জেলার জোগিন্দরনগরে ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ১১০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হয়েছে সিরমাউর জেলাতেও।

এছাড়া আগামী কয়েক দিন রাজ্যের বিলাসপুর, হামিরপুর, কাংড়া, চাম্বা এবং মান্ডি জেলার জন্য জারি হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই থেকেই মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের শিমলা, মান্ডি এবং কুলু জেলা। ধসের কবলে ভেঙেছে বহু ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল। বহু মানুষ নিখোঁজ, মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।

সরকারি সূত্রে খবর, গত ২৭ জুন থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৭৯ জন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!