‘আওয়ামী দুঃশাসনের সময় বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, ঘুম-খুনের শিকার হয়েছে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাবার পর দেশের মানুষ পরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান অর্ন্তবরতী সরকারের প্রধান কাজ’ উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কেবল বিএনপির একার দফা নয়, এটি বিএনপির সঙ্গে যারা জোটবদ্ধ রয়েছে তাদের সকলের মতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এ কারণে এই ৩১ দফা শুধু দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে। এতে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য। এমনকি স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতেও ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।’
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার অর্ন্তগত ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত “রাষ্ট্র মেরামতে দেশনায়ক তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১দফা সাধারণ মানুষের মাঝে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে’’ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে ১৭ বছর ধরে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে। সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেক পরিবারের নারীদের জন্য একটি কার্ড প্রদান করা হবে। এর মধ্যে যে অর্থ সরবরাহ করা হবে তা দিয়ে নারীরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’
খুলনা মহানগর বিএনপির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে জলাবদ্ধতা নিরসন ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী খননে কাজ করা হবে।’ নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘মানুষ যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে না থাকে সেই দলের কোনো সার্থকতা নেই। জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখছে, তাই চাঁদাবাজ লুটতরাজকারীদের বিএনপিতে কোনক্রমেই ঠাঁই হবেনা।’
বিএনপি জনপ্রিয় কি না সে সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে উল্লেখ করে তুহিন বলেন, ‘জনগণের সাথে থাকতে হবে এবং তাদের সঙ্গে রাখতে হবে।’
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা। এছাড়াও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/জেএম