গণঅধিকার পরিষদের প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে সভাপতি পদে নুরুল হক নুর আর সাধারণ সম্পাদক পদে রাশেদ খান নির্বাচিত হয়েছেন। নুর ১৩৫ ভোট এবং রাশেদ ১০৯ ভোট পেয়েছেন। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের এ ভোটে ৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফকিরাপুলের প্রীতম জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১টায় কাউন্সিলের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়। যদিও ভোট শুরুর কথা ছিল সকাল ১০টায়। বিকেল ৬টা ৪৫ মিনিটে ভোটগণনা চলছে বলে জানানো হয়। এরপর রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
কাউন্সিলে মোট ভোটার ছিলেন ২১৬ জন। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির ভোটার ১২৬ জন। এতে সভাপতি পদে চারজন প্রার্থী ভোটে লড়েছেন। তারা হলেন- নুরুল হক নুর, নাজমুল উস সাকিব, বায়েজিদ শাহেদ এবং জাফর মাহমুদ। সাধারণ সম্পাদক পদেও চারজন প্রার্থী ছিলেন। তারা হলেন- রাশেদ খান, মাহফুজুর রহমান খান, বিপ্লব কুমার পোদ্দার এবং জিল্লু খান।
অন্যদিকে উচ্চতর পরিষদে আট পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৮ জন। তারা হলেন- আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজিব, ফিরজ আহমেদ, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জামান আহমেদ সিদ্দিকী, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আনিসুর রহমান মুন্না, ওয়াহিদুল রহমান মিল্কিওয়ে, শাফায়েত হোসেন, মঞ্জুর ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুস জাহের, আনিসুর রহমান মুন্না, আবদুল্লাহ আল মামুন সুজন, মিনা আল আমিন, জসিম উদ্দিন ও ফাতেমা তাসনীম।
নির্বাচিত আটজন হলেন- আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজীব, শহীদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনীম, আব্দুজ জাহের, জসিম উদ্দিন আকাশ ও সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী।
গত ২ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের জাতীয় কাউন্সিল ও উচ্চতর পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চার সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করা হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামকে। নির্বাচন কমিশনার করা হয় সহকারী আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৌফিক শাহরিয়ার, সহকারী আহ্বায়ক মাহবুব জনি এবং সদস্য তোফাজ্জল হোসেনকে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের অনুসারীদের ঘোষিত এ কাউন্সিলে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার সমর্থকরা। কিন্তু শেষ সময়ে রেজা কিবরিয়ার ঘোষিত সদস্যসচিব হাসান আল মামুন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন।
২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলেছে দলের কার্যক্রম। সোমবার কাউন্সিলের মধ্যে দিয়ে দলটি প্রথম নেতৃত্ব পেয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার আগেই দলে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি