গঙ্গা ও তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে মোট ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতা সফরে । তার মধ্যে সোমবার ২-৩ জন পৌঁছে গেছেন কলকাতায় যারা কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের অধীনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে গঙ্গা জল চুক্তি হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। এদিকে ২০২৪ সালে ভারত সফরে এসেও গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে গিয়েছিলেন হাসিনা। এরপরে গণবিদ্রোহের জের হাসিনা সরকার উৎখাত হয়। এখন
সেই দেশের মসনদে বসেছেন ড. ইউনুস। এই আবহে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে কী অবস্থান নেয়, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩ মার্চ সোমবার বাংলাদেশের সেচ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদল কলকাতায় পৌঁছানোর পর ওই দিনই ট্রেনে ফারাক্কা যান । ৫ মার্চ তাঁরা ফারাক্কায় জলপ্রবাহসংক্রান্ত পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখবেন বলে দাবি করা হয়েছে। তার আগে ৪ মার্চের সফরসূচি অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় হায়াত হোটেলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে।
তিস্তা নিয়ে ভারতের নেতিবাচক সমস্যার একটা সমাধান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার করতে চায়। কেন না এই চুক্তিতে চীন তাদেরকে সহযোগিতার সব ধরণের আশ্বাস দিয়েছে। গঙ্গা জল চুক্তি যেটা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে দেবে গৌড়া সরকারের আমলে, যে চুক্তির মূল অনুঘটক ছিলেন তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, সেটাকও তারা আরো শক্তিশালী শর্তে নবীকরণ করতে চায়। আর তা না হলে দ্বিতীয় ফারাক্কা তারাও বাংলাদেশে করবে। এক্ষেত্রেও চীন তাদেরকে সহযোগিতা করবে। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত কী হয় দুই দেশের মধ্যে।
খুলনা গেজেট/এইচ