শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে বেশি। এই সময় চুলের সমস্যা শুরু হয়। মাথার চামড়া শুকিয়ে গিয়ে খুশকির প্রকোপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দামী দামী শ্যাম্পু, তেল ব্যবহার করেও খুশকি দূর করা যায় না। আসলে খুশকি হওয়ার কোনো বয়স লাগে না। ছোট বড়, সকলের হতে পারে। তবে কতগুলো ঘরোয়া উপায় আছে যার সাহায্য খুশকি সমস্যার সমাধান নিবারণ করা সম্ভব।
নারকেল তেল এবং লেবুর রস: নারকেল তেল ও লেবুর রস খুশকি তাড়াতে দারুণ কাজ করে। ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল গরম করে সমপরিমাণ লেবুর রস মেশাতে হবে। তারপর এই মিশ্রটি মাথায় লাগাতে হবে, ২০ মিনিট রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করতে হবে।
মেথির হেয়ারপ্যাক: মেথি ব্যবহার করলে খুব সহজে খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও মেথি চুল পড়া, অকালপক্বতা এবং উকুনের মতো সমস্যা দূর করে। মেথি চুলের গোঁড়া শক্ত করতে ও চুলকে ঝলমলে রাখে। রাতে পানিতে মেথিদানা ভিজিয়ে রেখে তারপর মেথি আলাদা করে বেঁটে নিতে হবে। বেঁটে রাখা মেথি চুলের গোড়ায় দিয়ে এক ঘণ্টার জন্য রাখতে হবে। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
দই: যারা চুলে হেনা প্যাক দেন, তাদের অনেকেই দই ব্যবহার করে থাকেন। দই চুলকে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। শুধু চুলকেই উজ্জ্বল রাখে না, চুলের নানারকম সমস্যা দূর করতে দইয়ের কোন বিকল্প নেই। যেমন, খুশকি দূর করতে দই খুবই উপকারি একটি উপাদান। অল্প পরিমাণে দই চুলের গোঁড়ায় এবং চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। এক ঘণ্টা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
বেকিং সোডা: খুশকি তাড়াতে বেকিং সোডা খুব ভালো কাজ করে। শুধু তাই নয়, চুলের বৃদ্ধিতেও বেকিং সোডা উপকারি। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুশকি দূর করতে হলে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে চুল সামান্য ভিজিয়ে নিয়ে এক চামচ বেকিং সোডা চুলের গোঁড়ায় মালিশ করতে হবে। ৬০ থেকে ৯০ সেকেন্ড রেখে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
টি ট্রি অয়েল: বাড়িতে বসে ঘরোয়া উপায়ে খুশকি তাড়ানোর কার্যকরি উপায় হল টি ট্রি অয়েল। এই তেলটি নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি খুব সহজে দূর করা যায়। এই তেলটির আরও গুণ রয়েছে। ত্বকের যত্নে ও এই টি ট্রি অয়েল দারুণ উপকারি ভূমিকা নেয়। কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল চুলের গোঁড়ায় দিতে হবে এবং ভাল করে মালিশ করতে হবে। পাঁচ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। তারপর চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
আপেল সিডার ভিনিগার: খুশকি তাড়ানো এবং চুল পড়ে যাওয়া সত্যিই খুব চিন্তার বিষয়। চুলের সৌন্দর্য সারাজীবনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি এই দুই সমস্যা আপনার সঙ্গে হয়ে থাকে। তবে, এই সমস্যা থেকে আপনাকে সহজেই মুক্তি দিতে পারে আপেল সিডার ভিনিগার। সমপরিমাণ আপেল সিডার ভিনিগার এবং পানি মেশাতে হবে। এবার চুল ভিজিয়ে এই মিশ্রণটি ভেজা চুলে লাগাতে হবে। ভাল করে মালিশ করে ১৫ মিনিটের জন্য চুলে রেখে দিতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
হেনা: চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে হেনা প্যকের গুরুত্ব অপরিহার্য। চুলকে ঘন, লম্বা ও মজবুত করতে সাহায্য করে ও খুশকি দূর করে। হেনার সঙ্গে চায়ের লিকার, দই এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশাতে হবে। এবার এই মিশ্রণটি ৮ ঘণ্টা ধরে একটি পাত্রে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। এবার চুলের গোঁড়ায় এবং চুলে লাগাতে হবে। টানা দুই ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম