আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় শান্তিপূর্ণ বিভাগীয় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতির বক্তৃতায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতা হারানো ভয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে গায়েবী মামলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। গোটাদেশ আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার অবিলম্বে গণআন্দোলনের মুখে পালাতে বাধ্য হবে। স্বৈরাচার লুটেরা সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এদেশের জনগন আর তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বিদ্যুৎ এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।
এড. মনা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবোল তাবোল বলতে শুরু করেছে। তারা খেই হারিয়ে সভা-সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বিষোদগার করছেন। বিএনপির চলমান শান্তিপুর্ণ কর্মসুচিতেও তারা অজানা আতঙ্কে থাকে। নিজেদের ছায়া দেখলেও তারা আতঁকে ওঠে। ৪ জানুয়ারি খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ হবে শতভাগ শান্তিপ্রিয়। ওইদিনের সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫৯টি উপজেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা যোগ দিবেন।
সভা থেকে আগামী ৪ জানুয়ারির আগেই খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ৬৬জন নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। সভা থেকে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ সফল করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভা থেকে সমাবেশ সফল করতে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সকল থানা, উপজেলা, ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম নান্নু, মুজিবর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, কে এম হুমায়ুন কবির, মুর্শিদুর রহমান লিটন, মিজানুর রহমান মিলটন, সামসুল বারী পান্না, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, সিরাজুল ইসলাম লিটন, শাহ জালাল, হাবীবুর রহমান
হাবীব প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি