খুলনায় আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হলো বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা। এ উপলক্ষ্যে বিকালে সার্কিট হাউজ মাঠে মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা জেলা প্রশাসন ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। তাই নিজে গাছ লাগাতে হবে অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহ দিতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। মানুষের বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহিত করার জন্য সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন এবং সুন্দরবন থেকে গাছকাটা বন্ধ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রকৃতি-পরিবেশসহ সকল কিছু রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সুন্দরবনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে জাতীয় স্বার্থে বন ও মৎস্য সম্পদ রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা দেন সিটি মেয়র।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ। খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি এসএম বদরুল আলম রয়েল।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজ মাঠে মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।
বৃক্ষমেলায় বিভিন্ন ধরণের ৬১ টি স্টল রয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ