খুলনায় স্ত্রী হত্যারদায়ে স্বামী ওমর ফারুখকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি ওমর ফারুখ খানজাহান আলী থানা এলাকার পাড়িয়ারডাঙ্গা এলাকার রুস্তুম আলী ফারাজীর ছেলে। নিহত নুপুর বেগম (২২) একই এলাকার মো. খলিলুর রহমান হাওলাদারের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহামুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, হত্যকান্ডের ৩ বছর পূর্বে ২০১৫ সালের দিকে আসামি ওমর ফারুখ ও নুপুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ঘটনার ৩ মাস পূর্বে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ হয়। প্রায় আসামি ভিকটিমকে মারধর করত। বিষয়টি জানতে পেরে নুপুরের বাবা জমাই মেয়েকে বাড়ি ডেকে নেয়। জামাইকে কিছু টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন নিহতের বাবা মোঃখলিলুর রহমান। পরে মেয়েকে বুঝিয়ে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
২০১৮ সালের ১৭ জুলাই ভোর রাতে লোকমারফত খলিল জানতে পারে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পাশের বাগানে মেয়ের মরদেহ পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে মেয়ের হাত ও মুখবাধা লাশ দেখে তার সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় মেয়ের স্বামী ওমর ফারুখকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামি ফারুখকে গ্রেপ্তার করে। পুুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এসআই সুমঙ্গল কুমার দাশ ফারুখকে আসামি করে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. কে এম ইকবাল।
খুলনা গেজেট/কেডি/এসজেড