খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৭ মে, ২০২৪

Breaking News

খুলনায় যৌতুক মামলায় সিআইডি কর্মকর্তা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় যৌতুক মামলায় সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠুন রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল -১ এর বিচারক দিলরুবা আক্তার তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

খুলনা ডুমুরিয়ার ছেলে মিঠুন রায় ঢাকা সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের সাইবার শাখায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

মামলাটির বাদি পক্ষে আইনজীবি ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অলোকানন্দা দাস ও ড. মো. জাকির হোসেন। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সেলিনা আক্তার পিয়া।

আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিঠুন রায়ের খুলনার বাটিয়াঘাটার দেবিতলা গ্রামের তিথী বিশ্বাসের সাথে ২০১৫ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিথী বর্তমানে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে মিঠুন রায় তিথীকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে গোপানে বিয়ে করে। বিয়ে করে খুলনা ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে তিথীকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন। একপর্যায়ে তিথী গর্ভবতী হয়ে পড়লে জোরপূর্বক গর্ভপাত করান। পরবর্তীতে মিঠুনকে তিথী তার বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে নিতে বললে তিনি দুই বিঘা জমি, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। মিঠুন জানতো তিথীর পরিবারের অর্থিক অবস্থা খারাপ যার কারণে তারা যৌতুক দিতে পারবে না। যৌতুকের দাবিকে মিঠুন পরে তিথীকে নির্যাতন ও মারধোর করা শুরু করে। পরে তিথী খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন।

অ্যাডভোকেট ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য বটিয়াঘাটার মহিলা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়। মিঠুন তার পুলিশের প্রভাব প্রয়োগ করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে ফেলেন। এরপর আদালত তিথী বিশ্বাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইবুনালে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে মিঠুর বিরুদ্ধে শমন জারি করে। বুধবার মিঠুন রায় আদালয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবির শুনানি শেষে মিঠুন রায়ের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। মিঠুন রায়ের বিরুদ্ধে আরও ২টি মামলা রয়েছে। একটি হচ্ছে যৌতুক মামলা ও অপরটি পারিবারিক মামলা।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!