কঠোর লকডাউনে গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ শনিবার নগরীর চিত্র ছিল ভিন্ন। সড়কে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রিক্সার পাশাপাশি অলিগলিতে ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা গেছে।
খুলনার অধিকাংশ রাস্তায় রিক্সার সংখ্যাই বেশি। চালকদের মুখে মাস্ক থাকলেও তার ব্যবহার ঠিকমতো দেখা যায়নি। মার্কেটের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। তবে অলিগলিতে বিভিন্ন বয়সের মানুষের আড্ডা বেড়েছে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই।
বেলা ১১ টায় নগরীর পিটিআই মোড়ে দেখা হয় দুই কিশোর সজীব ও রুমির সাথে। তাদের দু’জনের বয়স ১৪/১৫। তারা খুলনা সেন্ট যোসেফস স্কুলের ছাত্র। উভয়ের মুখে কোন মাস্ক ছিলনা। প্রাণ প্রিয় স্কুলটি দেখার জন্য তাদের বাইরে বের হওয়া!
অপরদিকে নগরীর শান্তিধাম মোড়ে লকডাউনের সময় সরকারি আদেশ অমান্য করায় ফুল মার্কেটের তিন দোকানিকে ছয় শ’টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি দেখে অনেকে দোকানের সাটার নামিয়ে বা দোকান খোলা রেখে পালিয়ে যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিবুল আলম জানান, দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিল বেড়ে চলেছে। তারপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। কোনভাবেই তাদের বোঝানো সম্ভব হচ্ছেনা, ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না তাদের । মামলা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কাজ হচ্ছেনা।
পুষ্পমালা দোকানের মালিক মোঃ মহিউদ্দিন জানান, দীর্ঘ লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ থাকায় আয় কমে গেছে। ঘরে খাবার কোন কিছু নেই। সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে মরার মতো অবস্থা হয়েছে তার। ফোনে জন্মদিনের একটা অর্ডার পেয়ে আজ দোকান খুলেছিলেন তিনি। আর তখনই অভিযান।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় করোনা ও উপসর্গে মারা গেছে ১০ জন। এর আগের দিন মারা যায় ২৭ জন। আর ২২ জন মৃত্যুর খবর আসে বৃহস্পতিবার।
খুলনা গেজেট/এনএম