পপি বেগম। থাকেন যশোরে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খুলনার গল্লামারী মোহাম্মাদনগরে এসেছিলেন বাবার বাড়িতে। কিন্তু খুলনায় এসে বিপদে পড়ে গেলেন তিনি। শুধু তিনি নন, তার মতো অনেকেই একই সমস্যায় পড়েছেন।
মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি ও তিন চাকার যান বন্ধের দাবিতে চলছে বাস মিনিবাস ধর্মঘট। আগে থেকে জানতে না পেরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
যশোরের পপি বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জানতে পারেন বাবা অসুস্থ্ হয়ে পড়েছেন। সংবাদ শুনে তিনি দুপুরের পরে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পারিবারিক কাজ শেষে যশোরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সোনাডঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখেন কোন বাস চলছে না। জরুরী ভিত্তিতে তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। ভেবে কোন উপায় না পেয়ে মাহেন্দ্রায় করে যশোরের পথে যাত্রা করবেন বলে চিন্তা করেন। কিন্তু সেখানে বাধ সাধে চালক, তিনি নওয়াপাড়ার বেশী যেতে চাননি। ভাড়াও দ্বিগুণ দাবি করেন চালক।
পপি বেগম আরও বলেন, ঘরে তার ছোট বাচ্চা রয়েছে। এখন যেতে না পারলে তার বিপদ হয়ে যাবে। তাই যেভাবে হোক তাকে যেতে হবে।
একই কথা জানালেন নগরীর সাতরাস্তা মোড়ের বাসিন্দা নিরব ইসলাম। ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন তার এক আত্মীয়। সেখানে অপারেশন হবে। জরুরী প্রয়োজনে যেতে হবে কিন্তু তিনি পারছেন না।
তিনি বলেন, ধর্মঘটের কথা আগে থেকে মিডিয়ায় প্রচার করা উচিত ছিল। এটা করলে হয়তবা এ ধরণের হয়রানির শিকার হতে হত না।
অপর যাত্রী সাইফুল ইসলাম জরুরী কাজে ঢাকায় যাবেন। সোনাডঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন কোন গাড়ি খুলনা থেকে ছেড়ে যাচ্ছেনা। শুনেছি মাইক্রো যাচ্ছে। এখন অপেক্ষায় আছি। যদিও সেখানে ভাড়া অনেক বেশি।
খান আব্দুল মোতালিব বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে জমির কাগজ উঠাতে এসেছিলেন। কাজ একটু বাকী আছে। শুনেছেন ধর্মঘট চলছে, তাই বাড়ি ফিরে যাবেন। সোনাডঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখেন বাস নেই। এখানে থেকেও তার কোন লাভ নেই। বাসায় ফিরে যেতে তিনি বিকল্প পথ খুঁজছেন।
এদিকে বিএনপি খুলনা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির বলেন, কোন বাধাই আন্দোলন ঠেকাতে পারেনি। বাধা আসলে মানুষ বিকল্পে পথে সমাবেশে যোগ দিবে। আমার আগেও পরিবহন শ্রমিকদের চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। এখন শরীরিকভাবে তাদের বোঝাতে এসেছি। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হবে। ধর্মঘটের ডাক দিয়ে তারা ভুল করছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই