করোনার প্রাদুর্ভাবে এবারের বই উৎসব সীমিত পরিসরে পালন করা হচ্ছে। বছরের প্রথমদিন খুলনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব পালন করা হয়েছে। তবে এবার বই বিতরণে ব্যতিক্রম ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। এর আগে, ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী এবারের পাঠ্যপুস্তক উৎসব ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেছেন।
এবার নির্দেশনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে বিতরণ করা হবে বই। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিনই নতুন বই হাতে পাবে, তবে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন ক্লাসের বই বিতরণ করা হবে ১২ দিনে। বছরের প্রথমদিন ১ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি নবম শ্রেণি, ৪-৬ জানুয়ারি অষ্টম শ্রেণি, ৭-৯ জানুয়ারি সপ্তম শ্রেণি এবং ১০-১২ জানুয়ারি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অর্থাৎ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বই তুলে দেবে। তবে কোনো কোনো বিদ্যালয় বছরের প্রথম দিন থেকে বই বিতরণ শুরু করবে না বলে জানিয়েছে।
সিটি গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ্ জিয়াউর রহমান স্বাধীন বলেন, শিক্ষমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বছরের প্রথমদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করা হয়েছে। ধাপে ধাপে চলবে আগামী ১২ জানুয়ারী পর্যন্ত।
খালিশপুর আল-ফালাহ্ একাডেমীর প্রধান শিক্ষক রমজান আলী বলেন, বছরের প্রথমদিনেই নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্ষন মিলিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১ হাজার ৭২৭টি। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১ হাজার ১৫৯টি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ৫৬৮টি। এছাড়াও মাদ্রাসা রয়েছে ১৭১টি। এবার থানা ও উপজেলা অফিস থেকে ১ হাজার ৭২৭টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৪৬৭টি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে খুলনা সদরে ৩ লাথ ২১ হাজার ৩৩টি, ডুমুরিয়ায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৮০টি, রূপসায় ৮৫ হাজার ৬৫০টি, কয়রায় ৯২ হাজার ৪০৬টি, তেরখাদায় ৭২ হাজার ৯২৪টি, দাকোপে ৬৪ হাজার ৫০টি, দিঘলিয়ায় ৬২ হাজার ৯৬৪টি, পাইকগাছায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৯০টি, ফুলতলায় ৬৩ হাজার ৪২০টি ও বটিয়াঘাটায় ৮৬ হাজার ২৫০টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। তবে আগেরবারের থেকে এবার বই বিতরণে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম