খুলনার প্রায় ৩’শ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার থাকলেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নবায়ন হয়েছে মাত্র ৩৪টি। আগামী ২৩ আগষ্টের মধ্যে হাসপাতাল কতৃপক্ষ লাইসেন্স নবায়ন না করলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সেগুলো বন্ধ করার হুশিয়ারী দিয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, একাধিক প্রতিষ্ঠানকে নবায়ন করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ক্লিনিক ও ডায়গনিষ্টিক সেন্টার মালিকরা জানিয়েছেন, নবায়ন ফি বৃদ্ধি, আন্ত:জটিলতা এবং করোনা পরিস্থিতির কারণেই নবায়নে ধীরগতি ছিল।
জানা যায়, খুলনা মহানগরীতে ৮৪টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল এবং ৯৬টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ মোট প্রতিষ্ঠান ১৮০টি। যা গত অর্থবছরে মাত্র ২০টি প্রতিষ্ঠান নবায়ন করেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে ৩২টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ইন্সপেকশন করার জন্য চিঠি এসেছে। এছাড়া ইতিমধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে ইন্সপেকশন করে মন্ত্রণায়য়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৮টি ক্লিনিক, হাসপাতাল এবং ৭০টি ডায়গনষ্টিকসহ মোট ১১৮টি প্রতিষ্ঠান থাকলে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মাত্রস ১৪টি প্রতিষ্ঠান নবায়ন করেছেন। এরমধ্যে ৭টি ক্লিনিক এবং ৭টি ডায়গনষ্টিক সেন্টার রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের খুলনার প্রেসিডেন্ট ডা: গাজী মিজানুর রহমান জানান, ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার নবায়নে অফিসিয়ালী আভ্যন্তরীণ কিছু জটিলতা রয়েছে। তবে তার এসোসিয়েশনের সকল প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম কানুন মেনে নিয়ে নবায়ন কার্যক্রম করার জন্য জানিয়েছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে নবায়ন আপডেট করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: রাশেদা সুলতানা জানান, সব প্রতিষ্ঠানগুলোতে নবায়ন হালনাগাদের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় থেকে যেগুলোর বিষয়ে ইন্সপেকশন এসেছে সেগুলো করা হচ্ছে। ২৩ আগষ্টের মধ্যে যারা নবায়ন করবেন না সেসকল প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নগরী ও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার থেকে প্রতিনিয়ত সেবা নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে সেবার মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ভূয়া ডাক্তার, ভুল রিপোর্ট, অপারেশনের ক্রুটির কারণে রোগী মৃত্যুর খবর হর হামেশায় দেখা পড়ে। কোন ধরণের তদারকি না থাকায় নিয়ম নীতি না মেনেই দিনের পর দিন এসব প্রতিষ্ঠান সেবা দিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগেরই লাইসেন্স থাকলেও হালনাগাদ বা নবায়ন নেই।
খুলনা গেজেট / এনআইআর