বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ (শুক্রবার) খুলনায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ উপলক্ষ্যে সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) আতিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, কর্মস্থলের নিরাপত্তায় বিনিয়োগ হলো মালিকের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাস্থ্য সম্মত ও শোভন কর্মপরিবেশ সম্পর্কে মালিক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সকল কলকারখানায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা জরুরি। অতিথিরা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ সামনে রেখে শ্রমজীবী মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য আজ বিশ্বের একশটি গ্রীণ কারখানার মধ্যে ৫০টি’র অধিক রয়েছে বাংলাদেশে।
খুলনা শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন এবং খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অদিধপ্তরের উপমহাপরিদর্শন ডাঃ নবীন কুমার হাওলাদার। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পেট্রোম্যাক্স এলপিজি’র স্বাস্থ্য ও সেইফটির প্রধান জিয়াউল হাসান সেরনিয়াবাদ।
উল্লেখ্য, সরকার শ্রমিক ও মালিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়ক নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণ করেছে।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালিতে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শ্রমিক-মালিক-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/এনএম