খুলনায় করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে জমা পড়েনি। আজ রবিবার অফিস চলাকালীন এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও সেটি না পড়ায় কতৃপক্ষের ঢিলেমী ভাবের বহি:প্রকাশ পেয়েছে। তবে কমিটির সদস্যদের দাবি, তদন্ত কমিটির একজন সদস্যের অসুস্থতার কারণে তদন্ত শেষ করতে একটু বিলম্ব হয়েছে, ২/১ দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে ।
জানা যায়, খুমেক হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারী (লিফটম্যান) নওশাদ টাকার বিনিময়ে নগরের বিকে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে নমুনা আইডি কেএমসি-২০০২৩ ও পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নমুনা আইডি কেএমসি-১৯০৩১ তে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তারা দু’জনই করোনা পজিটিভ হয়। তাদের যে আইডির মাধ্যমে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছিলো তাও ভূয়া প্রমানিত হয়েছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে খুলনা জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালকের একজন প্রতিনিধি তদন্ত করেন।
তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে তা জমা পড়েনি। এ বিষয়ে কমিটির সদস্য ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, কমিটির একজন সদস্য অসুস্থ থাকায় তদন্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু দুই এক দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
খুলনা গেজেট / এনআইআর / বশির