খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৃণমূল মানুষের সংগঠন। এই সংগঠন সব সময়ই সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখ, সুবিধা অসুবিধার বিষয় নিয়েই কাজ করে। সে ভাবেই সংগঠনের কাঠামো তৈরী করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের সকল সুবিধা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই হত্যার শিকার হলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু আদর্শের উত্তরসূরীদের রাতের অন্ধকারে কারাগারের মধ্যে কাপুরুচিতভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু আর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাঙালির গায়ে লেপে দেয়া হয় কালিমা। বন্ধ করে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার কার্যক্রম।
বুধবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পরে রাষ্ট্রীয় ভাবে সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। এখন জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার কার্যক্রম আদালতে প্রক্রিয়াধীন। ইনশাল্লাহ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সকল হত্যার বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হলে জাতীয় চার নেতার মত ত্যাগী আদর্শবান হতে হবে।
সভায় বক্তৃতা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, বিএম জাফর। সভা পরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক আর একটি অধ্যায় তিন নভেম্বর ৷ ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারীদের অন্যতম জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়৷ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে৷ তার পর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ একই বছর তিন নভেম্বর আবারো একদল বিপথগামী সেনা সদস্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢুকে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে৷ তারপর থেকে রাষ্ট্রের হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বাংলাদেশে।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে বিকালে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ। পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব এ্যাড. সুজিত অধিকারী।
আলোচনা সভা শেষে জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করন এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টা হতে দলীয় কার্যালয়ে কোরআন খানি অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই