খুলনার রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা এলাকার ভ্যান চালক ইমরান সরদার হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আমির আলী মীর ওরফে কাওসারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান এই আদেশ দেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আদালত তার রায়ের পর্যালোচনায় জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকান্ডটি সংগঠিত হয়েছিলো। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ইমরান সরদার তার ভ্যান নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে রূপসার নন্দনপুরের একটি সুপারি বাগান থেকে ইমরানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নিহতের পিতা ইউসুফ সরদার বাদি হয়ে অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে রূপসা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে কাওসারকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুর রহমান একই বছরের ২ জুলাই কাওসারকে আসামি করে আদালতে চাজশিট দাখিল করেন। ৩২ স্বাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কুশলী এনামুল হক বলেন, আসামী তার শ্বাশুড়ীর কাছ থেকে গাছের ডাল কাটাবে এ কাথা বলে একটি দা সংগ্রহ করে। তারা সন্ধ্যায় এক সাথে খাবার খায়। রাতে ভুক্তভেগীকে দার পিছন দিয়ে আঘাত করে অজ্ঞান করে। তারপর গলা কেটে তাকে হত্যা করে। মামলাটি এলাকায় আলোচিত হয়ে ওঠলে পুলিশ আসামির ফোন ট্রাকিং এর মাধ্যমে তাকে শ্বশুরবাড়ী তেরখাদা থেকে গ্রেফতার করেন এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও ভ্যান তেরখাদা থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রুপসা থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহিনুর রহমান একই বছরের ২ জুলাই আমীর আলী ওরফে কাওসারকে একমাত্র আসামী করে আদালতে একটি চার্জশীট দাখিল করেন। আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. হাসিনা আক্তার মুন্নি।
খুলনা গেজেট /সাগর/এমএম