চতুর্থ ধাপে খুলনা জেলার তিনটি উপজেলায় আজ বুধবার (০৫ জুন) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রূপসা ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় ত্রিমুখী এবং দাকোপ উপজেলায় চতুরমুখী লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে, ভোট নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কোনো মাতামাতি না থাকলেও প্রচারণায় সরব প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, রূপসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কোনো তাপ-উত্তাপ নেই। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রূপসা উপজেলায় মোট ভোটারসংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৬ জন। বটিয়াঘাটা উপজেলায় ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৬ জন। ছয় জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচ জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও তিন জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দাকোপ উপজেলায় এবার চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাত জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দাকোপ উপজেলায় এবার ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৩ জন।
খুলনা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের সব সরঞ্জামাদি মঙ্গলবার (০৪ জুন) ভোটকেন্দ্রে পৌঁছেছে। আজ ভোরে ব্যালট পেপার স্ব স্ব কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।
অপরদিকে আগামী ৯ জুন-২০২৪ তৃতীয় পর্বের স্থগিতকৃত খুলনা জেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে The Arms Act, 1878 (Act XI of 1878) এর 17A(1) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নি¤েœাক্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
নির্বাচনী এলাকা ও তৃতীয় পর্বের স্থগিতকৃত উপজেলার নাম: ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার নির্বাচনের তারিখ ৯ জুন-২০২৪। ২ জুন থেকে ১৬ জুন-২০২৪ তারিখ সময়ে সকল ধরণের বৈধ অস্ত্রের মালিক/লাইসেন্সধারীগণ কর্তৃক অস্ত্র বহন, অস্ত্র প্রদর্শন এবং অস্ত্রসহ চলাফেরা করার ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে।
এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে The Arms Act, 1878 এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সাথে সম্পৃক্ত সকল বাহিনীর সদস্যদের ও বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি দপ্তর, আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনাসমূহে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এসকল তথ্য জানানো হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি