বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম আসরের ফাইনালে খুলনার দেওয়া ১৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেছে চট্টগ্রাম। ফাইনালে মিরপুরের শের-এ বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। উত্তেজনাপূর্ণ এই ফাইনালে প্রথমেই ইউকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত পারফর্মেসেন্স ২০ ওভারে ৭ ইউকেট হারিয়ে চট্টগ্রামকে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা।
ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে।
এদিন বিকালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় দলটি। চট্টগ্রামের অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামের বলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে শূণ্য রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি।
শুরুর এই ধকল সামলিয়ে ওঠার আগেই উইকেট নেই ইমরুল কায়েসের। তিনিও সেই নাহিদুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। ৮ বলে মাত্র ৮ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জাতীয় দলের এই তারকা ব্যাটসম্যান। হাল ধরেন জাকির হাসান ও আরিফুল হক। তবে সেটি বেশিক্ষণ টিকে থাকেনি। মোসাদ্দেকের বলে মাহামুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে জহিরুল ও ইমরুলের পথ ধরেন জাকির। দলের হয়ে ২০ বলে ২৫ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
দলীয় ৮৩ রানে শরিফুল ইসলামের বলে আরিফুল হক পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২৩ বলে ২১ রান সংগ্রহ করেন। দলের ১১৭ রানের মাথায় শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হন শোভাগত হোম। তিনি ১২ বলে ১৫ রান সংগ্রহ করেন। এরপরই দলীয় ১১৯ রানে শামীম রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। একই পথ ধরেন মাশরাফি। দলীয় ১৩১ রানে মোস্তাফিজের বলে সৌম্যের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৬ বলে ৫ রান সংগ্রহ করেন। দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার অর্ধশতকে দল ভালো লক্ষ্যে পৌছায়। তিনি ৪৮ বলে ৭০ রান সংগ্রহ করেন। আর হাসান মাহমুদ ১ বলে ১ রান সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রামের হয়ে মোসাদ্দেক ও মোস্তাফিজ একটি করে এবং নাহিদুল ইসলাম ও শরিফুল ২ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেই আজ মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম। অন্যদিকে, প্রথম কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামকে রীতিমত উড়িয়ে দিলেও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে ফাইনালে নামা হচ্ছে না খুলনার।
পারিবারিক কারণে সাকিব আল হাসানের দল ছাড়ায় এমনটা হতে যাচ্ছে তা জানা ছিল আগে থেকেই। যার ফলে এক পরিবর্তন নিয়ে ফাইনাল খেলতে হচ্ছে খুলনাকে। শিরোপা জেতার মিশনে সাকিবের জায়গায় পেসার শহিদুল ইসলামকে অন্তর্ভুক্ত করে একাদশ সাজিয়েছে দলটি।
চলমান প্রতিযোগিতায় ইতোমধ্যে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দল। যেখানে চট্টগ্রামের দুই জয়ের বিপরীতে একবার জয়ের মুখ দেখেছে খুলনা। ডাবল রাউন্ড লিগের দুই ম্যাচে চট্টগ্রাম দাপুটে জয় তুলে নিলেও প্রথম কোয়ালিফায়ারে দলটিকে রুখে দেয় খুলনা। ম্যাচটিতে চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে খুলনা।
জেমকন খুলনা একাদশ : জাকির হাসান, জহুরুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, শুভাগত হোম, শামীম হোসেন, মাশরাফি মুর্তজা, শহিদুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও আল-আমিন হোসেন।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম একাদশ : লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাদিফ চৌধুরী, মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন, শামসুর রহমান, সৈকত আলি, নাহিদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, রাকিবুল হাসান ও শরিফুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/এমএম