খুলনায় ১১টি মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিলো ২০১৯ সালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ জানুয়ারি উদ্বোধন করেছেন রূপসা উপজেলার মডেল মসজিদ। এর আগে গতবছর ১০ জুন প্রথম ধাপে নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়।
কিন্তু বাকি ৯টি উপজেলার মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজের অবস্থা হতাশাজনক। কয়রা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলায় মসজিদ নির্মাণের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। বাকি ৬টি উপজেলার নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ খুলনার মানুষ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মসজিদ থাকলেও একই স্থান থেকে বিভিন্ন ইসলামিক কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো মডেল মসজিদ নেই। তাই এ ধরনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
এর অংশ হিসেবে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পাশে এবং ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, রূপসা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, কয়রা, তেরখাদা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা বিশিষ্ট এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে ৪ তলা মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। তিন তলা বিশিষ্ট প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি টাকা অর্থাৎ নয় উপজেলায় নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে মোট ১১৭ কোটি টাকা। এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের আলিয়া মাদ্রাসা ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের পাশের দুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৫ কোটি করে মোট ৩০ কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার মসজিদের নিচতলার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ডুমুরিয়ায় গম্বুজসহ পলেস্তারা ও আনুষাঙ্গিক কাজ বাকি। পাইকগাছায় মিনার ও গম্বুজের কাজ চলছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের মসজিদে তৃতীয় তলার অবকাঠামোর কাজ চলছে। বাকিগুলোর পলেস্তারা, ফিনিশিং, বিদ্যুৎ, সৌন্দর্যবর্ধনসহ নানা কাজ এখনও বাকি রয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, তেরখাদা উপজেলার মসজিদের কাজ শেষ পর্যায়ে। ফেব্রুয়ারি মাসে এটি উদ্বোধন করা যাবে। ফুলতলা উপজেলার কাজ আগামী জুনে শেষ হবে। এছাড়া খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে মডেল মসজিদের তৃতীয় তলার কাজ চলছে। দিঘলিয়া উপজেলা মসজিদের কাজে একটু ধীরগতি রয়েছে। এখানে এখনও নিচতলার কাজ চলছে।
গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা জানান, কয়রায় পুনরায় জমি অধিগ্রহণ, দাকোপ ও বটিয়াঘাটায় পুনঃদরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। বাকি দুটির মূল অবকাঠামো শেষ, এখন মিনার ও গম্বুজের কাজ চলছে।