খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  প‌বিত্র ঈদুল আজহা আজ, খুলনা গেজেটের সকল পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।

খুলনায় স্থিতিশীল মশলার বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে এলাচ

সাগর জাহিদুল

দু’দিন বাদে উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। আর এই ঈদে সাধারণত জিরা, ধনিয়া, এলাচ, দারুচিনি, পেঁয়াজ, আদা এবং রসুনসহ নানা ধরনের মসলার প্রয়োজন বাড়ে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে মাথা চড়া দিয়ে ওঠে এ সব পণ্যের বাজার। তবে এবারে কয়েটি মসলার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে এলাচ এবং শুকনো মরিচ।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, এবার মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক এবং আমদানি বেশী থাকায় বাড়েনি মসলার দাম। সিন্ডিকেট না থাকায় অন্যান্য ঈদের তুলনা মসলার বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।

নগরীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজি জিরা ৭০০ টাকায় বিক্রি করছেন। একইভাবে তারা ধনিয়া প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ টাকা, দারুচিনি ৬০০ টাকা, হলুদ সাড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে এবারের ঈদে এলাচ ব্যবসায়ীরা ৬ হাজার টাকা এবং শুকনো মরিচ ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

বড় বাজারের মসলা পার্টির ব্যবসায়ী রাজ্জাক ষ্টোরের মালিক বলেন, বাজারে মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। দুই একটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ছাড়া গত ৪-৫ মাস মসলার বাজার স্থিতিশীল আছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাচ আমদানি করতে হয়। গত এক সপ্তাহে আগে থেকে প্রতিকেজি এলাচের মূল্য ১২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দাম আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে।

একই বাজারের ব্যবসয়ী মো. আলমগীর হোসেন একা বলেন, মসলার বাজার অন্যান্য ঈদের তুলনা ব্যতিক্রম। ঈদের আগে ব্যবসায়ীর মসলা পণ্য মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করত। তাছাড়া বাজার এলাকায় ঈদের আগে সন্ত্রাসীদের নীরব চাঁদাবাজি চলতো। এসব খরচ ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কেটে পূরণ করতেন। কিন্তু এবার চাঁদাবাজি এবং সিন্ডিকেট নেই বলেই মসলার দাম কম।

তিনি সরকারের প্রশংসা করে বলেন, ঈদ আসলে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ মাথাচড়া দিয়ে উঠত। তেতো হয়ে উঠত চিনি, পোঁয়াজ এবং আদার বাজার। কিন্তু এবার সেই চিনি পাইকারী দরে ১০৪ টাকায় এবং আদা ৯০ টাকায় ও পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজার তদারকি প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করার জন্য সরকারের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।

নগরীর রূপসা বাজারের মায়ের দোয়া স্টোরের বাবলু হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ঈদে বাজারে মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। একই সঙ্গে মসলার আমদানিও বেড়েছে।

রূপসা বাজারে ক্রেতা শারমিন বলেন, অন্যান্য বার ঈদের তুলনায় মসলার দাম স্বাভাবিক আছে। তবে এলাচ এবং শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে। দাম যেন আর না বাড়তে পারে সেজন্য তদারকি প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!