খুলনার যোগিপোল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও যুবলীগ নেতা আরিফ হোসেন হত্যা মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
পুলিশ বলছে, জমি দখল, জমি বিক্রির দালালি ও স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের বিষয় নিয়ে হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে। এ তিনটি বিষয় নিয়েই তারা তদন্ত করছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সোমবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় কুয়েট পকেট গেট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন আরিফ হোসেন (৪০)। তিনি ৩৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, যোগিপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আরিফ রাতে তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ৩ জন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে করে এসে তাকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আরিফকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে সোমবার রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, আরিফ এলাকায় জমি ব্যবসার দালাল হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া একপক্ষের হয়ে অন্য পক্ষ থেকে জমির দলিল বুঝিয়ে দিতে পেশিশক্তি নিয়োগ করতেন। এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পেছনে এই দুটি কারণ কাজ করতে পারে। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের বিষয়টি নিয়েও তদন্ত চলছে।
নগরীর আড়ংঘাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন জানান, ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় দাফন শেষে মামলা করতে পরিবারের সদস্যরা থানায় আসবে বলে জানিয়েছে।