ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে সর্বত্র প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে, ৫ ই আগস্টের পর দখলবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের যে সকল সদস্য এখনো কাজ যোগ দেয়নি তাদেরকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দিতে হবে। চাঁদাবাজ ও দখলদারদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। এ দেশ আমাদের সকলের। সকল ধর্মের সকল নাগরিকের স্ব-স্ব অধিকারের পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় খুলনা মেট্রোপলিটন এর নবাগত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জুলফিকার আলীর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাতে মতবিনিময়ে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল, সহ-সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, শেখ মো. নাসির উদ্দিন, সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. আবু গালিব, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন, ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন বন্দ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তাসলিমা খাতুন, উপ পুলিশ কমিশনার রাশিদা বেগম, ফটোসাংবাদিক বাহাউদ্দিন প্রমূখ।
ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান একক কোনো গোষ্ঠীর ছিলো না এ অভ্যুত্থান সকল দলের। সকল ছাত্র-জনতার। আওয়ামী পুলি বিগত ১৬ বছরে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে, অনেক বোনকে করা হয়েছে বিধবা, বাবার ছায়া থেকে বঞ্চিত হয়ে শত শত শিশুর আর্তচিৎকার আমরা এখনও শুনতে পাই। খুলনায় আওয়ামী দুঃশাসনে অত্যাচারিত নিপীড়িত মানুষের মামলায় এখনো কোন গ্রেপ্তার, বৈধ/অবৈধ অস্ত্র জমা না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন, নেতৃবৃন্দ খুলনা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা কদরুল ও মৌলভী পাড়ার মুশফিককে অবিলম্বে খুঁজে বের করা, যানজট মুক্ত খুলনা শহর রাখা এবং আসন্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা কে সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ কাজ করবেন বলে প্রশাসনকে আশ্বস্ত করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে