সঠিক পদ্ধতির মধ্যথেকে উঠে না এসে। সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত চিকিৎসা বিদ্যার কারিকুলাম অনুসরণ না করে শুধুমাত্র ৬ মাস একবছর কিছু শিখে ডাক্তার লেখা চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করার শামিল। মনে রাখতে হবে রীট করে কখন ডাক্তার লেখা যায়না। আজকে একজন চিকিৎসক হয়ে উঠতে কত পরিশ্রম ও সাধনা প্রয়োজন সে একজন চিকিৎসকই জানে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নগরীর শিববাড়ী মোড়ে খুলনার চারটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন বাংলাদেশে মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা ছাড়া আর কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না এটা সর্বজন বিদিত। সারা বিশে^ এবং বাংলাদেশের আদালতে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত রায়ের বিপরীতে ম্যাটস এবং ডিএমএফ এর রীট করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আদালত এ পর্যন্ত ৯০ বার রায় পিছিয়েছে। সাধারন মানুষদের আমরা এ বিষয়গুলোয় আরো সোচ্চার ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও বিজ্ঞ আদালতকে অতিদ্রুত এ রিটকে খারিজ করে ডাক্তারদের পক্ষে রায় ঘোষনার আহ্বান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ, আদদীন মেডিকেল কলেজ, ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ এর শিক্ষার্থী এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে এককত¦তা প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন ড্যাবের খুমেক হাসপাতাল শাখার সেক্রেটারি ডা: আবু জাফর মো: ছালেহ ( পলাশ)। খুলনা মেডিকেল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ও এনডিএফ খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ আসাদুল্লাহিল গালিবসহ চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ। মানবন্ধন শেষে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ কামাল হোসেন এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এদিকে টানা তৃতীয় দিনের মত ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে। সম্প্রতি ম্যাটস ও ডিএমএফ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংসস্কারের পাঁচ দফা দাবিতে দেশ ব্যাপি এ আন্দোলন চলছে। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ সিনিয়র চিকিৎসকরা সংহতি জানিয়েছে। এদিকে ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ রোগীরা। বিশেষ করে দুপুরের পরে হাসপাতালে জেষ্ঠ চিকিৎসকরা না থাকায় জরুরী প্রয়োজনে চিকিৎসক খুজে পাচ্ছে না রোগীরা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ণ ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন যদি রীট করেই নামের আগে ডাক্তার লেখা যায় তাহলে এতো কষ্ট করে লাভ কি। আগামীকাল আমাদের ঢাকার প্রতিনিধিরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে আমরা সে অনুযায়ী আন্দোলন পরিচালিত করব।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা জাতীয় একটি ইস্যুতে কর্মবিরতি পালন করছে। তাদের এই দাবি যৌক্তিকতা রয়েছে। তবে কর্মবিরতিতে যাতে রোগীদের কোন ধরণের ক্ষতি না হয়। যাতে প্রত্যেকটি রোগী সুচিকিৎসা নিশ্চিত হয় সে জন্য আমরা মিড লেভেলের চিকিৎসক যেমন সহকারী রেজিস্ট্রার এবং অনরারি মেডিকেল অফিসার ও মেডিকেল অফিসারকে আরও একটিভ হয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে কোন রোগীর কোন সমস্যা না হয়।
খুলনা গেজেট/বশির/এমএম