বৈশ্বিক মহামারি করোনায় দেশে ২৮ হাজার ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। করোনা আতংকে স্কুল-কলেজ, বাজার ঘাট সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ২০২১ সালে যক্ষায় ৪১ হাজার মানুষ মারা গেছে। অথচ যক্ষা প্রতিরোধে উদ্যোগ দিন দিন কমে যাচ্ছে। গতবছর খুলনা বিভাগে ৪৪ হাজার মানুষ যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় যক্ষা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে সরকার যক্ষা রোগীর সংখ্যা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে।
বুধবার নগরীর সিটি ইন হোটেলে ‘চ্যালেঞ্জ ফ্যাসিলিটি অর সিভিল সোসাইটি রাউন্ড ১১’ প্রকল্পের আওতায় উদ্বোধনী সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি সেবা সংস্থা (কেএমএসএস) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। স্টপ টিবি পাটনারশিপ এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় যক্ষ্মা নির্মূলের জন্য লোকাল, জাতীয় ও আর্ন্তজাতকি র্পযায়ে এডভোকেসি করা হবে। এছাড়া টিবি কমিউনিটি পর্যায়েও সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম, রেফারল এর মাধ্যমে চিকিৎসা, জেন্ডার সেনসেটিভ এপ্রোচ এর মাধ্যমে টিবি নির্মূলে সময় উপযোগি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মনজুরুল মুরশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন, বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ফেরদৌসি আক্তার, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সবিজুর রহমান, ডিভিশনাল টিবি এক্সপার্ট খুলনা ডা. শাহ্ মেহেদি বিন জহুর, কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, সাবেক বিভাগীয় টিবি এক্সপাট ডা. আনোয়ারুল আজাদ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কেএমএসএসের সভাপতি ডা. মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ছিলেন কেএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক আফরোজা আক্তার মঞ্জু। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন কেএমএসএসের মনিটরিং অফিসার শামিমা পারভিন, সভার বিষয়বস্তুু তুলে ধরেন প্রোগ্রাম কর্ডিনেটর শেখ ফয়সাল আল আজমির।
খুলনা গেজেট/এইচ