খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপের দায়িত্ব নিয়েছেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসেইন শওকত। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির প্রশাসক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু নানা কারণে দায়িত্বগ্রহণে দেরি করছিলেন তিনি। পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সোমবার দায়িত্বগ্রহণ করেন তিনি। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাকে স্বাগত জানান।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ ব্যবসায়ীদের বের করে দিয়ে সংগঠনটির দখল করেন বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারা ১১ সদস্যের এডহক কমিটি গঠন করেন, যার নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা। কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকার লেনদেন হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। যার প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংগঠনটিতে প্রশাসক নিয়োগ করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রশাসক নিয়োগের আদেশ হওয়ার পরও অবৈধ কমিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো। তারা সমিতির প্যাড ব্যবহার করে পিকনিকের নামে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টাসহ সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল। যারা এর বিরোধিতা করছিলেন তাদের প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে বখাটে যুবককের পাঠিয়ে হয়রানী এবং মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিলো। প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে অবৈধ কমিটির তৎপরতা শেষ হবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করেছেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ হলে সেই সংগঠনের আগের সকল কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তারা কোনো কার্যক্রম পরিচালনার এখতিয়ার থাকে না। কিন্তু অবৈধ কমিটি প্রশাসক নিয়োগের পরও তড়িঘড়ি করে পিকনিক আর্থিক খাতগুলোর কর্মকান্ড দ্রুত বেগবান করার চেষ্টা করেন।
আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগ দেয়া সমিতির সচিব কামরুলসহ অন্যরা ছিলেন সহযোগীর ভূমিকায়। তারা সচিবসহ আওয়ামী সময়ে নিয়োগ করা কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন। একই সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
খুলনা গেজেট/এইচ