খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘নগরীর পুকুরগুলো লিজ দেওয়া হবে না। এগুলো দৃশ্যমান ও খননের জন্য জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অনেকে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষসহ বিভিন্নভাবে ব্যবসা শুরু করেন। এই কাজগুলো আর করতে দেওয়া হবে না।’
মেয়র বৃহস্পতিবার সকালে নগর ভবন সম্মেলন কক্ষে জার্মান সরকারের অধীন উন্নয়ন সহযোগী KFW কর্তৃক অর্থায়নকৃত Climate Change Adaptcd Urban Devlopmend Projrct এর চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রকল্প উপস্থাপন এবং স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, ‘নগরীতে ৩১টি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে কেসিসির আওতায় ১১টি। নগরবাসীর স্বার্থরক্ষা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবকিছু করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে রূপসা ও ভৈরব নদ খননের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘ড্রেন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে একনেক সভায় অনুমোদন দিয়েছে।’ প্রকল্পের অর্থ সঠিক পথে ব্যয় করতে মেয়র সংশ্লিষ্টদের নিদের্শ দেন।
কর্মশালায় কেসিসি’র প্যানেল মেয়র মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না ও মোঃ আলী আকবার এবং ১৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা, কেসিসি’র কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য অনুষদের প্রফেসর ড. সিরাজুল হাকিম।
পরে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগর ভবন সম্মেলন কক্ষে রোটারি জেলা ৩২৮১ বাংলাদেশ গভর্ণরের সাথে মতবিনিময় করেন এবং নগরভবন চত্ত্বরে রোটারি জেলা ৩২৮১ বাংলাদেশ গভর্ণর মোঃ রুবায়েত হোসেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ২০টি ভ্যান মেয়রের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিত্ব মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, খুলনা চেম্বারের পরিচালক মোঃ মফিজুল ইসলাম টুটুলসহ খুলনা ও ঢাকা জেলার রোটারি ৩২৮১ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টসহ রোটারিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম