যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার আস্তায়খোলা গ্রামের মো: জহুরুল হকের ছেলে এনামুল হক স্থানীয় ধলগ্রামে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ দেখতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার সাথে যোগ দিয়েছিলেন চাচাতো ভাই মো: শরীফুল ইসলাম। তিনি ওই এলাকার শহর আলী বিশ্বাসের ছেলে। পথিমধ্যে তাদের গতিরোধ করে এলাকার কতিপয় দুর্বৃত্ত। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের দু’জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয় ও কেড়ে নেওয়া হয় নগদ এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। ঘটনাক্রমে এনামুল হক বেঁচে গেলেও মারা যান মো: শরীফুল। এ ঘটনাটি ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
২০১৫ সালের ৯ জুন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এনামুল ও শরীফুল বাড়ির কাজ দেখাশুনা করার জন্য ধলগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। তাদের কাছে নগদ এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিল। পথিমধ্যে তকব্বর নামে এক আসামি তাদের গতিরোধ করে। পাশে অবস্থানরত অন্য সন্ত্রাসীরা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ওই আসামির বাড়ি নিয়ে যায়। রাম দা ও লোহার রড়সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। তাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ ও বড় ভাই শাহ আলম ঘটনাস্থলে আসলে তাদের ওপরও আক্রমণ করে। আসামিরা এনামুল ও শরীফুলের নিকট থেকে নগদ এক লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। তাদের দু’ জনকে নিয়ে যশোরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরীফুলের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হলে ঘটনার পরেরদিন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ব্যাপারে ঘটনার দিন নিহতের চাচাতো ভাই মো: শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলো, ইকবাল হোসেন, আব্দুল্লাহ, জিয়াউর রহমান, আলম, কামাল, আলম, রুবেল, আবু তালেব, আবু বক্কার, হাসমত, তকব্বর ও নাইম। এদের মধ্যে তকব্বর ও নাইম হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষ ১২ জনকে আসামি করে একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টেবর) খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত আছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই