খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির মেয়াদ বৃদ্ধি, নির্বাচনে অনিয়ম, গঠনতন্ত্র পরীপন্থি ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় ১৪ জনকে কারণ দর্শানোর আদেশ জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) মামলার শুনানী শেষে খুলনার সিনিয়র সহকারী জজ (সদর কোর্ট) আদালতের বিচারক নয়ন বড়াল মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. শেখ নূরুল হাসান রুবা খুলনা গেজেটকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন সমিতির নবনির্বাচিত বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ আইনজীবী।
গত ১ জানুয়ারি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৪ জন আইনজীবী মামলাটি দায়ের করেন। তারা হলেন, এড. শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার খোকন, এড. মো. আসলাম হোসেন, এড. মো. মহসিন চৌধুরী, এড. এ কে এম শহিদুল আলম শহিদ, এড. শেখ মো. মঈন উদ্দীন মারুফ, এড. মো. আব্দুল হক গাজী (এসকেন্দার) এড., নুরুন নাহার নাজমুন নেছা জেবা, এড. মো. আশফাক আহমেদ পারভেজ, এড. মো. জাকির হোসেন মিলন, এড. তাহেরা নাজমা মিতু, এড. আ.ফ.ম. মুস্তাকুজ্জামান (মুক্তা), এড. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, এড. জি. এম. মশিউর রহমান ও এড. শাকিরা ফেরদৌস (রিমি)।
এ মামলার এজাহারে বাদী পক্ষ নির্বাচনে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫৭ ধারা লংঘন করে প্যানা ও বিল বোর্ডে নির্বাচনী প্রচারণার অভিযোগ করেন। তাঁরা নির্বাচনকে অবৈধ, গঠনতন্ত্র বহির্ভুত, কারসাজি করার অভিযোগ এনে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ১ থেকে ১৪ নম্বর বিবাদী যাতে ২০২৩ সালের জন্য খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে কোনো কাজ করতে না পারেন সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. নুরুল হাসান রুবা বলেন, মামলায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন গত ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাতিল এবং সমিতির নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ এক বছরের স্থলে দুই বছর করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানী শেষে আদালত এক থেকে ১৪ নম্বর বিবাদীকে ৭ দিনের শোকজ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ অক্টোবর ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। একটির নেতৃত্বে ছিলেন এড. মো. সাইফুল ইসলাম- এড. এস. এম. তারিক মাহমুদ তারা পরিষদ। তারা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, খুলনা কর্তৃক মনোনীত ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক সমর্থিত।
অপরদিকে, সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্যানেলে ছিলেন এড. শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার খোকন- এড. এ কে এম শহিদুল আলম শহিদ পরিষদ। এ পরিষদ বিএনপি সমর্থিত পরিষদ নামে পরিচিত।
খুলনা গেজেট/কেডি