খুলনা জিলা স্কুলের সামনের রোডে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যবসায়ীর ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্বরা। বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, এখনো ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেননি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রমতে, খুলনার অন্যতম রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান মডার্ণ সী-ফুড’র ১৪ লাখ টাকা দুপুর ২টার দিকে ব্যাংক থেকে তুলে মডার্ণ সী ফুডের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা কোম্পানীর গাড়ীতে ফেরার পথে জিলা স্কুলের পাশের সড়কে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে গাড়ির পথ রোধ করে দুইজন দুর্বৃত্ব। আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।
কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মেহেদী হাসান জানান, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ১৪ লাখ টাকা তুলে তার অফিসের দুই কর্মকর্তা ও দুই ব্যবসায়ী মহানগরীর নতুন বাজারের মাছের আড়তে যাচ্ছিলেন। তারা প্রাইভেটকারে ছিলেন। দুপুর ২টার দিকে জিলা স্কুল মোড় অতিক্রম করার সময় দু’টি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবক প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। তারা গাড়ির ভেতরে থাকা ব্যবসায়ীকে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়।
তিনি জানান, যুবকরা টাকার ব্যাগ নিয়ে কাস্টমঘাটের দিকে যাওয়ার সময় মোড়ের এক পুলিশ সদস্য বিষয়টি দেখে ফেলেন। তিনিও মোটরসাইকেল নিয়ে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করেন। কিন্তু ধরতে পারেননি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম আরও জানান, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে জানার পরে ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও পরীক্ষার চেষ্টা চলছে। ফুটেজ পাওয়া গেলে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা সহজ হবে। তবে সড়কের অধিকাংশ সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
প্রসঙ্গত্ব, ছিনতাইয়ের পরে দুর্বৃত্তরা যে সড়কটি দিয়ে পালিয়ে যায় সেই সড়কে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা ও দায়রা জজ বাস ভবন, ছাড়াও খুলনার আদালত পাড়া, জেলা প্রশাসন ভবন, অফিসার্স ক্লাব, জেলা স্টেডিয়ামসহ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন