খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  রাঙামাটির কাউখালীতে পিকআপভ্যানের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  কুয়েট উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

খুলনা গেজেটে সংবাদ প্রকাশের পর বিএনপির কমিটি থেকে নৌকার প্রার্থীকে অব্যাহতি

তেরখাদা প্রতিনিধি

গত ২১ এপ্রিল তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির ৫ নম্বর সদস্য হিসেবে রয়েছে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবিএম আলমগীর শিকদার। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলনা গেজেট গতকাল ২৪ এপ্রিল ‘তেরখাদায় বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ওই কমিটি থেকে আলমগীর শিকদারকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।শুক্রবার(২৫ এপ্রিল) উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী কওছার আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ্যাড এবিএম আলমগীর হোসেন শিকদারকে গত ২১ এপ্রিল তারিখে তেরখাদা উপজেলার ৪ নং সাচিয়াদহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কিমিটিতে ভুলবশত তার নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার কারণে তাকে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

সূত্র জানায়, তেরখাদার সাচিয়াদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এ বি এম আলমগীর শিকদার। ২০১৬ সালে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে জিততে পারেননি। ২০২১ সালে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, সেবারও পরাজিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ২০২৬ সালে ইউপি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছর থেকে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন শুরু করেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পুরোপুরি বিএনপিতে ভিড়ে যান।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল বাশার বলেন, ‘২০২১ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আলমগীর কবির বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। তার বাড়িতে তিন উপজেলার নেতারা দাওয়াত খেয়েছেন। তবে কমিটিতে তার নাম কে দিয়েছে জানি না।

ভিন্ন কথা বলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আলমগীর আগে কখনো বিএনপির সঙ্গে ছিল না। ৫ আগস্টের পর অনেকের সঙ্গে সেও নতুন বিএনপি হয়েছে। জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলী ইমরাজ জুয়েল বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আলমগীর শিকদার। বিএনপির যাঁরা নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকেই কমিটিতে পদ পাননি। এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ বি এম আলমগীর শিকদার বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলাম না। একটা সিস্টেম করে নৌকা প্রতীক পাই। কিন্তু আমাকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়। তিন-চার বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছি। প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছি। এ জন্য হয়তো আমাকে কমিটিতে রেখেছে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী কাওছার আলী বলেন, ‘ভুল করে তার নাম চলে এসেছে। তাকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!