খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ইউক্রেনে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
  কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু, কিশোরগঞ্জে ৩ জন
  সারা দেশে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা হচ্ছে, যা ঠিক নয়: আইন উপদেষ্টা
  ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসির প্রজ্ঞাপন

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন উপাচার্যের ৪২৬ নিয়োগ নিয়ে দুদকের তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ৪২৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গত তিন বছরের নিয়োগ-সংক্রান্ত অধিকাংশ নথি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জমা দিয়েছে খুকৃবি কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিকে ‘উপাচার্যের নিয়োগকীর্তি’ শিরোনামে সংবাদও প্রকাশ হয়। সংবাদে তুলে ধরা হয় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪২৬ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, এর জন্য মাত্র তিন বছরে ৪৩টি বিভাগ খোলা, তৎকালীন উপাচার্যের ছেলেমেয়ে, শ্যালক, ভাতিজা, ভাগনেসহ আত্মীয়স্বজনদের নিয়োগ, ইউজিসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিয়োগ অব্যাহত রাখাসহ নানা অনিয়ম। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩ আগস্ট উপাচার্যের ছেলেমেয়েসহ ৭৩ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গত নভেম্বর মাসে দুদকের সভায় নেওয়া হয় খুকৃবির নিয়োগে অনিয়ম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত। গত ৭ ডিসেম্বর অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক এরশাদ মিয়াকে। তিনি গত ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি পাঠান। এতে ৪২৬ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, প্রার্থীদের আবেদন, লিখিত পরীক্ষার খাতা, প্রাপ্ত নম্বর, নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ, মৌখিক পরীক্ষায় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের প্রত্যেকের পৃথক নম্বরশিট, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অকৃতকার্য প্রার্থীদের নামের তালিকা, অযোগ্যতার ব্যাখ্যা এবং নিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়ে থাকলে তার প্রতিবেদনের সত্যায়িত ছায়ালিপি ১০ জানুয়ারির মাধ্যমে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

কিন্তু এত নথি অল্পদিনের মধ্যে দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয় সময় বৃদ্ধির। অনুসন্ধান কর্মকর্তা ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেন। যার ভিত্তিতে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার নথিগুলো অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা এরশাদ মিয়া বলেন, নথির আংশিক বুঝে পেয়েছি। এগুলো এখন পরীক্ষা করে দেখা হবে।

খুলনা গেজেট/হিমালয়




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!