আম্পানের পর এক বছর অতিবাহিত হলেও খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে এখনো জরাজীর্ণ পাউবোর বেড়িবাঁধ। যা নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বেড়িবাঁধ এলাকার সাধারণ মানুষ। আর এই আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ধেয়ে আসার খবরে।
এদিকে নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধের বাইরে ও কাছাকাছি বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কাও বিরাজ করছে।
খুলনা পাউবো সূত্র জানায়, জেলায় ৮ শ’৭০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২০ কিলোমিটার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে স্থানীয়দের মতে, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের দৈর্ঘ্য আরও বেশি হবে।
সূত্রে জানা যায়, প্রায় প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেড়িবাঁধ ভাঙনে খুলনার উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়। লবণাক্ত পানির কারণে এ এলাকার অবকাঠামো তথা রাস্তা ঘাটের ক্ষতিসাধন হয়, নষ্ট হয় ঘরবাড়ি, ফসল। ঘূর্ণিঝড় আসলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ গাছপালা, আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার বাসিন্দা।
উপকূলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড় বিধস্ত খুলনাঞ্চলের উপকূলে দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় অধিকাংশ বাঁধের বেহাল দশা। জোয়ার একটু বেশি হলেই বাঁধ ছাপিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করলেও সঠিক তদারকি নেই কর্তৃপক্ষের। প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের আঘাতে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটির ক্ষত পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার নতুন আঘাত হানে তাদের ওপরে অন্য কোন ঘূর্ণিঝড়।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, খুলনা ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার আওতাধীন নয়, ঝুঁকিপূর্ণ এ উপজেলাটি সাতক্ষীরা পাউবোর অধীন।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ মজুত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি