আজ বিকেলে রেজিস্ট্রার দপ্তরের জারিকৃত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
উক্ত অফিস আদেশে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের সকল বিভাগ, দপ্তর, শাখাসমূহ সপ্তাহে দুই দিন (রবিবার, বুধবার) স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলা থাকবে। এছাড়া পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তবে একাডেমিক সম্পর্কিত অফিসসমূহ (স্কুল/ডিসিপ্লিন) প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খোলা রাখতে পারবেন।
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৮ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া আরও কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবার করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গেছে। এর আগে অন্তত: এক ডজন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি আক্রান্ত হওয়ার পর এখন সুস্থ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর এস এম আব্দুল আওয়াল, উপ-রেজিস্ট্রার হাওলাদার আলমগীর হাদী, সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান মিজু ও তার পরিবার, সেকশন অফিসার নাসির জাহাঙ্গীর, উপ-রেজিস্ট্রার মঈনুল ইসলামের স্ত্রী, সেকশন অফিসার শফিকুল ইসলাম, স্টোর শাখার সেকশন অফিসার শাহরিয়ার সুমন এর পরিবার, ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট উজ্জ্বল কুন্ডু, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের অফিস সহকারী লাভলু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মচারি রিপনসহ বেশ কয়েকজন জ্বরে ভুগছেন বলে জানা গেছে।
খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম লিপন বলেন, আমাদের কর্মকর্তাদের মাঝে কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত বলে খবর পেয়েছি। এর মধ্যে সেকশন অফিসার নাসির জাহাঙ্গীরের অবস্থা বেশ জটিল বলে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা আর্থিকভাবে তাকে সহযোগিতা করেছি এবং সার্বিক পরিস্থিতিতে তার পাশে রয়েছি।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি করোনায় আক্রান্তের বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি।