খিলগাঁওয়ে রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে অভিযানে নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আভিযানিক দল। কিন্তু টের পেয়ে মালিকরা সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়। যার কারণে অভিযান স্থগিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ বাকি সড়কের রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান চালায় ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে দুপুর ১টার দিকে অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেন অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে খিলগাঁও এলাকায় অভিযানে এসেছিলাম। আমরা একটি ভবনে যখন অভিযানে ঢুকেছিলাম, সেই খবর পেয়ে বাকিরা সবাই সকাল থেকে রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছে। রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে টানিয়ে দিয়েছে যে, উন্নয়ন কাজের জন্য রেস্টুরেন্ট আপাতত বন্ধ আছে। রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ থাকায় আমরা খিলগাঁও এলাকায় আজ আর অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি সাততলা ভবনে আগুন লাগে। আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ভবনের প্রায় প্রতিটি ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। এ অগ্নিকাণ্ডের পরই রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা। তারপরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি।
এদিকে সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় একযোগে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। এসব অভিযানে বেশকিছু রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ১৬ জনকে আটক এবং ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে করা কয়েকটি রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলাও হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে