বিএনপির চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর অভিমত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার পুরোন শর্তে তার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পক্ষে এই মত তারা দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদনে স্থায়ীভাবে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় স্থায়ী মুক্তির আবেদন বিবেচনা করেনি।
এছাড়া বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। তবে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে তারা এই আবেদনে চান নাই। এছাড়া তারা স্থায়ী মুক্তির আবেদন করেছিলেন। সেখানে আমরা আইনগত দিক থেকে সাজা ছয় মাস স্থগিত করে এই সময় পর্যন্ত তার মুক্ত থাকার মেয়াদ বাড়ানোর মতামত দিয়েছি।”
তিনি বলেছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের এই মতামত তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি পাঠানো হবে।
খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিল।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সময় জেল খাটার পর সেই দিনই মুক্তি পেয়েছিলেন। তিনি এখন যে মুক্ত আছেন সেই মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে গত ২৫ অগাস্ট শামীম ইস্কান্দার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এখন সেই আবেদনের ওপর আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামত পাঠালো।
আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি প্যারোল বা জামিন মুক্তি নয়। ফৌজদারি কার্যবিধিতে সরকারের যে ক্ষমতা রয়েছে সেই ক্ষমতাবলে সাজা স্থগিত করে এই মুক্তির বিষয় এসেছে।
২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সূত্র : বিবিসি।