করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের নন-করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ম্যাডাম এখন নন-করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যায় ভুগছেন। সেগুলোর চিকিৎসার জন্য তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা বাসায় চলছিল সেটার সঙ্গে এখন হাসপাতালে আরও কিছু নতুন ওষুধ যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, আলহামদুল্লিলাহ, খালেদা জিয়া এখন স্টেবল।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়া প্রয়োজন বলে বহুদিন ধরেই বলে আসছেন তার দলের নেতারা। বুধবার ডা. জাহিদ হোসেনও সেই একই কথা উল্লেখ করে বলেন, সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। তার জন্য পরিবার সরকারের কাছে আবেদনও করেছে। এখন আমাদের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার বাসভবন ফিরোজার আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনিসহ চারজন করোনা আক্রান্ত আছেন।
১৫ এপ্রিল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। তারপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলেন, সিটি স্ক্যানে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে খুবই সামান্য সংক্রমণ হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থে মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না। তাই খালেদা জিয়ার আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত করা হয়।
করোনার নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে গতকাল রাতে সিটিস্ক্যান করাতে খালেদা জিয়াকে আবারও এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।