খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে প্লাটিনাম জুট মিলস্ স্কুলের ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পীকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২ টায় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হলেন খালিশপুর প্লাটিনাম জুবলী জুটমিলের কলোনীর বাসিন্দা আঃ মান্নানের ছেলে মোঃ রকি (২২)। আর, যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, খালিশপুর প্লাটিনাম জুবলী জুটমিলের কলোনীর বাসিন্দা আঃ মান্নানের ছেলে মোঃ নজরুল (২৩), মোমরেজের ছেলে মোঃ রবিউল (১৮), আবু সাইদের ছেলে মোঃ আলামিন (১৮), নিছার ওরফে আনসারের ছেলে মিলন (২০), আজিজুর রহমান হাওলাদারের মুজিব হাওলাদার (১৮)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, একই এলাকার আনসার আলীর ছেলে ইব্রাহিম ওরফে বাহাদুর (২০) ও মৃত সামছুল হকের ছেলে মোঃ হাসান (২৩)। দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে একই সাথে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে সিরাজুল হকের ছেলে আনোয়ার (১৬)।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্লাটিনাম স্কুল মাঠে বাপ্পী তার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরধরে সন্ত্রাসীরা বাপ্পীর বন্ধু রাজুর ওপর হামলা করে। বন্ধুকে বাঁচাতে বাপ্পী সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিলে তারা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এই সুযোগে তার বন্ধু রাজু পালিয়ে যায়। এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বাপ্পী দুইজন চিকিৎসকের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দী দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়। এঘটনায় নিহতের ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেন। গ্রেফতার হওয়ার পর আসামী রনি ও নজরুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। ২০১২ সালের ৩১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এরআগে, এ হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। ওই সময় তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস মোহাম্মদ আলীর আদালতে আসামী রকি ও নজরুল ঘটনার বিবরণ দিয়ে এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং অন্যান্য আসামিদের জড়িত থাকার বিবরণ দিয়েছিল।