পীরে কামেল সুলতানুল আউলিয়া হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর ৬০তম বার্ষিক ওরছ শরীফ আগামী ৯ ফ্রেবুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মুনাতজাতের মধ্য দিয়ে তিনব্যাপি অনুষ্ঠিত এই ওরছ শরীফ শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায়।
বার্ষিক এই ওরছ শরীফকে কেন্দ্র করে সোমবার (১ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জের নলতা পাক রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ আফতাবুজ্জামান সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী সদস্য আবুল ফজলের সঞ্চালনায় পরামর্শ সভায় আলোচনা পেশ করেন, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলী আজম, কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্জ মোঃ সাইদুর রহমান, সহ-সম্পাদক আলহাজ্জ মোঃ মালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক এম.পি সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় পরামর্শ সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ম্যানেজিং কমিটির কার্যকরী সদস্য আনিছুজ্জামান খোকন সহ বিভিন্ন শাখা মিশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আমন্ত্রিত সকল অতিথিরা।
সভায় বক্তাগণ- দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও দিন দিন লোক সমাগম বেশি হওয়ায় এবং অনুষ্ঠানের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল আহ্ছানিয়া শাখা মিশনসহ শুভাকাঙ্খীদের যার যার অবস্থান থেকে বেশি বেশি সহযোগিতার আহবান জানান। ওরছ শরীফ চলাকালীন অবস্থানরত মেহমানদের আবাসন ও খাওয়ার মান উন্নত করতে নতুন পদ্ধতি চালুসহ নানা পরিকল্পনার কথা জানান সভাপতি ডাঃ আফতাবুজ্জামান।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, মুসলিম রেনেসাঁর অগ্রদূত আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) ছিলেন, অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক। তিনি ছিলেন, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, সুফি-সাধক, স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ এ মহান ব্রতকে সামনে রেখে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের কারিগর।
খুলনা গেজেট/ এএজে